ভারতীয়দের ইউক্রেন ছাড়ার পরামর্শ

প্রকাশঃ অক্টোবর ২০, ২০২২ সময়ঃ ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

গণভোটের আয়োজন করে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে জুড়ে নিয়েছিলেন আগেই। এবার সেই চারটি অঞ্চল— ডনেৎস্ক, লুহানস্ক (একত্রে যারা ডনবাস নামে পরিচিত) জ়াপোরিজিয়া এবং খেরসনে মার্শাল ল’ জারি করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে নরেন্দ্র মোদী সরকার যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতির কথা জানিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার ‘পরামর্শ’ দিয়েছে।

বুধবার পুতিনের এই ঘোষণার মাধ্যমে কার্যত ওই চার অঞ্চলে সামরিক শাসন কায়েম করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে ইউক্রেনের প্রায় ১৫ শতাংশ এলাকা রুশ ফৌজের নিয়ন্ত্রণে চলে গেল। সেখানকারী অধিবাসীদের স্বাধীন ভাবে যাতায়াতের অধিকার এবং বাক্‌স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। বিদেশ মন্ত্রকের আশঙ্কা এর ফলে যুদ্ধের অভিঘাত আরও বাড়বে। বিদেশ মন্ত্রকের জারি করা সতর্কবার্তাতেও ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতির’ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের ডনেৎস্ক, লুহানস্ক, জ়াপোরিজিয়া ও খেরসনে তথাকথিত গণভোটের আয়োজনের পরে চলতি মাসের গোড়ায় ওই চারটি অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন পুতিন। ইউক্রেনের জমি দখলের এই রুশ তৎপরতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলি প্রস্তাব আনলেও ভারত সেই ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি।

গণভোটের অছিলায় ইউক্রনের ১৫ শতাংশ অঞ্চলকে রাশিয়ায় জুড়ে নেওয়ার উদ্যোগকে অবশ্য বিপুল ভাবে নাকচ করে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। গত শুক্রবার ১৯৩ সদস্যের রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দাপ্রস্তাব সমর্থন করে ১৪৩টি দেশ। বিপক্ষে পড়েছে মাত্র ৫টি ভোট। ভারত-সহ ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। তবে তার আগে মস্কোর তরফে গোপন ব্যালটে ভোটাভুটির দাবি জানানো হলেও ভারত-সহ ১০৭টি দেশ তার বিরোধিতা করে।

অবশ্য মস্কোর দাবি, ওই চারটি অঞ্চলেরই ৮০ শতাংশের বেশি অধিবাসী গণভোটে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পক্ষে মত দিয়েছেন। ২০১৪ সালে দক্ষিণ ইউক্রেনের ক্রাইমিয়াতে একই কায়দায় গণভোট করিয়ে দখল নিয়েছিল রাশিয়া।

সূত্র : ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G